রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ভারতে চিকিৎসা সেবায় সুযোগ সুবিধা প্রদানে যৌথ সভা  অবৈধভাবে চাল মজুদ রাখার অভিযােগে আবারো মিল মালিককে জরিমানা উন্নত মানের কম্বল পেয়ে খুশি দরিদ্র মানুষেরা এক হাজার দরিদ্র মানুষকে শীতবস্ত্র প্রদান করলেন বিজিএমিইএ’র সভাপতি প্রশাসনে বদলীর নির্দেশনায় ঠাকুরগাঁওয়ের চার ওসি, দুই ইউএনও জনপ্রিয় নেতা আলী আসলাম জুয়েলকে নৌকার মাঝি হিসেবে পেতে মড়িয়া ভোটাররা তারেক পাকিস্তান থেকে লোক পাঠিয়ে নৈরাজ্য চালাচ্ছে শান্তি সমাবেশে -যুবলীগ নেতা জুয়েল ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতায় ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্পেইন টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ সাংবাদিক আইনুলের লজ্জা থাকলে আ’লীগে যোগ দিন বিএনপির উদ্দেশ্যে যুবলীগ নেতা-আলী আসলাম জুয়েল

মাধ্যমিকের ভীতি কমেছে শিক্ষার্থীদের : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্কঃ প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিকের ভয় কমেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গণভবনে তার কাছে ফলাফল হস্তান্তরের পর এ কথা বলেন তিনি।  

পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে এ দু’টি পরীক্ষা শিশুদের মাঝে আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে। এর ফলে এসএসসি পরীক্ষার ভীতি কাটছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষার একটা সার্টিফিকেট পাচ্ছে, আবার অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর আরেকটা পাচ্ছে। এতে কি হচ্ছে, তাদের মধ্যে পরীক্ষার ভীতি কাটছে। যেকোনো সার্টিফিকেট বাঁধায়ে রাখলে নিজের মনের মধ্যে একটা সাহস জাগে। ফলে এসএসসি পরীক্ষার সময় যে ভয়টা থাকে সেটা কাটিয়ে ওঠা যায়।

এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নিজের এসএসসি পরীক্ষার অজ্ঞিতার কথা তুলে ধরে বলেন, আমি যখন নিজে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম তখন ভয় পেয়েছিলাম। বোর্ড পরীক্ষা প্রথম কী হবে না হবে। এখনকার বাচ্চাদের সে ভয় লাগে না। কারণ আগে থেকে এসব পরীক্ষা দিয়ে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জেগেছে।

শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে নতুন বই নেয়ার সময় মজা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হব?        


তিনি আরও বলেন, আগে পুরনো ছেঁড়া জীর্ণ বই হাতে দেয়া হতো, অনেকের আবার বই কেনার ক্ষমতা ছিল না বাবা-মায়ের, বা কিনতে পারত না, এখন আর সেটা নেই। সবার জন্য নতুন বই। আসলে নতুন বই হাতে পেলে ভালোও লাগে শিশুদের তাকিয়ে এ কথা বলেন। সরকারপ্রধান হেসে হেসে বলেন, নতুন বইয়ের ঘ্রাণ পেতে ভালো লাগে, আবার নতুন বইয়ে মলাট লাগাতে হবে, নামটা লিখতে হবে অনেক কাজ থাকবে। সেই কাজগুলো সবাই মিলে করা হবে তাই না।

এরপর একে একে প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, শিক্ষার আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছে তার সরকার।

ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নতুন বছর এবং বই উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন বই শিক্ষার্থীদের বছরের শুরু থেকেই পড়ালেখায় আগ্রহী করে তোলে।

শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের নিয়ে গণভবনের মাঠে যান। এ সময় শিশুরা দুরন্ত গতিতে মাঠে প্রবেশ করে। পরে প্রধানমন্ত্রীও শিশুদের সাথে মাঠে যান ও তাদের সাথে খেলায় মেতে উঠেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরে ২০২০ সালের বই উৎসব উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

১ জানুয়ারি সারাদেশে শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৫ কোটির বেশি নতুন বই তুলে দেয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।

এবার সারাদেশে জেএসসি-জেডিসিতে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এই হিসাবে গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার বেড়েছে ২.০৭ শতাংশ।

এছাড়া এবার জেএসসি-জেডিসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ হাজার ৪২৯ শিক্ষার্থী। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ৬৮ হাজার ৯৫ জন। গেল বারের চেয়ে এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে ১০ হাজার ৩৩৪ জন।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার কিছু আগে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ ফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফল তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ১টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবেন বলে জানান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১২টায় স্ব-স্ব কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠান থেকে ও অনলাইনে জেএসসি-জেডিসির ফল প্রকাশিত হবে।

সূত্র জানায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের (www.dhakaeducationboard.gov.bd) রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট-শিট ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া www.educationboard.gov.bd সাইট থেকেও রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন’র মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট-শিট ডাউনলোড করা যাবে।

সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ই-মেইলে কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট-শিটের সফট কপি পাওয়া যাবে। বোর্ড হতে হার্ড কপি সরবরাহ করা হবে না।

এছাড়া বেলা আড়াইটা থেকে সব জেলা, উপজেলা বা থানায় স্ব-স্ব পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে প্রাথমিক সমাপনীর ফল পাওয়া যাবে।

ইন্টারনেট ও মোবাইলে ফল

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) ও (http://dperesult.teletalk.com.bd), এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে প্রাথমিক সমাপনীর ফল। এছাড়াও মোবাইল অ্যাপস থেকে জেএসসি-জেডিসির ফলাফল পাওয়া যাবে (www.educationboardresults.gov.bd) এই ঠিকানায়। বেলা ১২টায় প্রাথমিক ও আড়াইটায় অষ্টমের ফল পাওয়া যাবে।

DPE পরীক্ষার ফল :
DPE<space>STUDENT ID<space>YEAR & SEND TO 16222
Example: DPE 1120194142432222 2019 & SEND TO 16222

EBT পরীক্ষার ফল :
EBT<space>STUDENT ID<space>Year & SEND TO 16222
Example: EBT 1120194142432222 2019 & SEND TO 16222

JSC পরীক্ষার ফল :
JSC<space>BOARD<space>ROLL<space>YEAR & SEND TO 16222
Example: JSC DHA 123456 2019 & SEND TO 16222

JDC পরীক্ষার ফল :
JDC<space>MAD<space>ROLL<space>YEAR & SEND TO 16222
Example: JDC MAD 123456 2019 & SEND TO 16222

গত ১৭ থেকে ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় সারাদেশে ২৯ লাখ তিন হাজার ৬৩৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হয়। দেশব্যাপী সাত হাজার ৪৫৮টি কেন্দ্রে তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়। এসময় বহিষ্কৃত প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশের নির্দেশনা দেন উচ্চ আদালত।

অন্যদিকে, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সূচি অনুযায়ী, ২ থেকে ১১ নভেম্বর তাদের পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে ১২ নভেম্বর নেয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

© News Net 24 BD All rights reserved 2019
Design & Developed BY Hostitbd.Com